বিয়ে করবেন পাত্রী খুঁজছেন , কিন্তু আপনার স্বপ্নসুন্দরীকে খুঁজে পাবেন কিভাবে ?

বিবাহযোগ্য পাত্রী

বিবাহ একজন ব্যক্তির  জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । একজন পুরুষের জীবনে তার আম্মু – আব্বুর পর স্ত্রীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । স্ত্রী  সারাজীবন  ধরে আপনার চলার পথে প্রতিটি মুহূর্তে আপনার ভালো – মন্দের, সুখে – দুঃখের সাথী  হবে  । শাদির পূর্বে তাই উপযুক্ত কনে বা পাত্রী নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । অনেক সময় স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল  না  হওয়ার কারণে অনেক  বিয়ে ভেঙে যায় । যারা লাভ ম্যারেজ করেন তাদের ব্যাপার আলাদা কিন্তু যারা অ্যারেঞ্জ করেন তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন অচেনা মানুষকে চেনা – জানা একটু কঠিন । তাই বলে কি বিয়ে করবেন না , তা তো হয় না ।  প্রতিটি  মানুষের পছন্দ – চাহিদা আলাদা তাই জীবন সঙ্গীনীর চাহিদাও ভিন্ন হবে । গুগলে   কেমন পাত্রী নির্বাচন করবেন তার জন্য দশ বারো লাইনের পরামর্শ নিয়ে সেই হিসেব মত একটি মেয়ের মধ্যে গুণাবলী দেখে   আপনার মনের মানুষ খুঁজতে যাবেন না । আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ একমাত্র আপনিই ভালো করে জানেন । আপনি আপনার আশেপাশে যাদের দেখে বড় হয়েছেন সেই  ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার সাথে আপনার ব্যক্তিগত মতামত সৌন্দর্য্যকে প্রাধান্য দিন । Beauty with Brain অর্থাৎ নারীর রূপের সাথে সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিন । আপনি কোনো কাজের মাসি বা রান্নার লোককে আপনার স্ত্রী বানাবেন না নিশ্চয় । তাই সুস্বাদু  হরেক রকমের পদ বানাতে পারে এমন রন্ধনকর্মে পটিয়সী হতে হবে  , গৃহকর্মে সুনিপুণা হতে হবে এমন কোনো আশা  রাখবেন না । যিনি আপনার স্ত্রী হতে চলেছে  তাকে  আপনার পার্সোনাল প্রপার্টি  ভেবে সেইমত ট্রিট করবেন না । আপনার স্ত্রীর  মতামত –  স্বপ্ন – ইচ্ছা –  ব্যক্তিগত স্বাধীনতা গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে , সাথে স্ত্রীরও স্বামীর প্রতি আনুগত্য -স্বপ্ন – চাহিদা – ইচ্ছা -পরিবারকে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা আছে কি না জেনে নিন । দুজনে মিলেমিশে একসাথে সংসার গড়বেন তাই দুজনের মধ্যে মতের মিল এবং বোঝাপড়া থাকা প্রয়োজন । সমাজের তথাকথিত বস্তাপচা  নিয়ম রীতি অনুযায়ী কাউকে বিচার করতে যাবেন না ।  আপনার ধর্ম – বর্ণ – কুল – গোত্র অনুযায়ী  লম্বা – ফর্সা – সুন্দরী – স্লিম – মোটা – বেঁটে ইত্যাদি এইসব শারীরিক সৌন্দর্য্যর পাশাপাশি , বিবাহযোগ্য পাত্রী নির্বাচন করার সময়  তার রুচিবোধ -সৃজনশীলতা-শিক্ষাগত যোগ্যতা-  -পারিবারিক পরিবেশ -পারিবারিক শিক্ষা   – বিচক্ষণতা – দ্বীনদারী সাথে মানবিক বোধ এবং দ্বায়িত্ববোধ  সমন্ধে জেনে নিন।  বাংলাদেশী ম্যারেজে নারী – পুরুষের সাথে সাথে দুটি  পরিবারের সম্পর্ক হয় । তাই আপনি যে নারীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হবেন , বিবাহ পরবর্তী আপনার পরিবারের সাথে থাকতে চায় কি না কিনা জেনে নিন ।  কোনো মানুষের স্বভাব – চরিত্র একদিনেই জানা সম্ভব নয় , একসাথে থাকতে থাকতে অপর মানুষটিকে জানা যায় ।  আপনার ব্যক্তিগত  পছন্দ অপছন্দ আপনার হবু সঙ্গীনিটিকে জানান সাথে তার পছন্দ-অপছন্দ জেনে নিন । একে অপরকে জানতে চিনে নিতে একান্তে সময় কাটান , আউটিং এ যান , শপিং করুন , বাড়িতে পরিবারের সাথে গেট টু  গেদার করুন ,  কথা বলুন , মিশুন  । বিয়ে জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু যেটা সারাজীবন বহন করতে হবে  তাই সময় নিয়ে ভেবে – চিন্তে   , ধীরে – সুস্থে সিদ্ধান্ত নিন । নিশ্চিত ভাবেই আপনি আপনার স্বপ্নসুন্দরীকে খুঁজে পাবেন। 

This entry was posted in Matrimonial Website and tagged , , , , , . Bookmark the permalink.